শনিবার, ০৭ Jun ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চরফ্যাশন ও মনপুরাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক এমপি নাজিমউদ্দীন আলম।। জুলাই আগস্টে চরফ্যাশনের শহীদ পরিবারের মাঝে বিএনপির আর্থিক অনুদান দেয়ার অনুষ্টানে পরিবার গুলোর পাশে থেকে সন্তান হারানোর দুঃখ দূর করার চেষ্টার অঙ্গিকার — সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের।। ভোলার চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ চরফ্যাশন বিএনপির বিতরণ।। স্বেচ্ছাশ্রমে ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করল যুবদলের নেতাকর্মীরা। “শক্তি”র আতঙ্কে নির্ঘূম রাত কাটাচ্ছেন উপকূলের অনেক মানুষ।। ঘূর্ণিঝড় শক্তি মোকাবেলায় চরফ্যাশন উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী সময়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসে এবং দুর্যোগের পূর্ব মুহূর্তে প্রস্তুতি নেওযার জন্য আহবান ভোলার চরফ্যাশনের যৌতুক লোভী স্বামী আলমগীরের নির্যাতনের শিকার স্তী রেশমা।। কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সালাহউদ্দিন মিয়ার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা।। চরফ্যাশনে মৎস্য অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ।। চরফ্যাশনে নিহত পরিবারের মাঝে বিএনপির অনুদান।।

চরফেশনে জোরপূর্বক জমি দখল ও মারধরের সুবিচার চেয়ে আবেদন৷ প্রধান উপদেষ্টাহ ১৬ দপ্তরে।।

স্টাফ রিপোর্টার।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের দুই নারীকে পিটিয়ে আহত করেন একই এলাকার
কিছু দুবৃত্তরা। তারা হলো মোঃ ফারুক মাষ্টার, মমতাজ বেগম, লোকমান হোসেন, খাদিজা, পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের শিমুল মাষ্টার, পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ড এর উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিস স্টাফ মাকসুদুর রহমান, মোঃ রাতুল, মোঃ লোকমান হোসেন, মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃনাজিম, মোঃ মামুন, মোঃ হুমায়ুন সহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জন।

অভিযোগকারী ও দরখাস্ত সূত্রে জানা যায়, বিগত 1996 ইং সালে চারজন গ্রহিতা জগদীশ চন্দ্র দাস হইতে 96 শতাংশ ভূমি খরিদ করে। উক্ত 96 শতাংশ ভূমি থেকে মোঃ ফারুক মাস্টার ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকতার মাধ্যমে 20 (বিশ) শতাংশ ভূমি অন্যায়ভাবে ভুয়া রেকর্ড করে নেয়। বিষয়টি অভিযোগকারী মৃত মোঃ সাদেক হাওলাদার এর ছেলে হাজী মোঃ রুহুল আমিন বিষয়টি জানতে পেরে চরফ্যাশন ভূমি অফিসের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করে উক্ত 20 (বিশ) শতাংশ ভূমি আবার তার নামে ফেরৎ আনা হয়। তরনীকান্ত দাস থেকে ফারুক মাস্টার 08 (আট) শতাংশ খরিদ করার সময় দলিল দাতার সরলতার সুযোগে 38 (আটত্রিশ) শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয়। পরবর্তীতে দলিল দাতা বিষয়টি তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান হাওলাদারকে অবহিত করলে চেয়ারম্যান মহোদয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অতিরিক্ত নেওয়া 30 (ত্রিশ) শতাংশ জমি তরনীকান্ত দাস কে দলিলের মাধ্যমে ফেরৎ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেন। শালিশ সিদ্ধান্তে সেই দিনই বিবাদী তার স্ত্রীর নামে 16 (ষোল) শতাংশ জমি গোপনে দলিল দেয়। পরবর্তীতে উক্ত তরনীকান্ত দাস থেকে 1 একর 8 শতাংশ জমি খরিদ পূর্বক দাতা কর্তৃক সরজমিনে পরিমাপ পূর্বক অভিযোগকারী হাজী রুহুল আমিন কে দখল বুঝিয়ে দিলে উক্ত ভূমি চাষাবাদ পূর্বক ভোগ দখলে তিনি বিদ্যমান ছিলেন। যা তার নামে নামজারীসহ রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্তরা লোভের বশবর্তী হয়ে হাজী রুহুল আমিনের মোট 1 একর 40 শতাংশ ভূমি থেকে 16 (ষোল) শতাংশ ভূমি তাদের দাবি করে তাকে উক্ত ভূমিতে আসলে মারধর করবে বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে রুহুল আমিন চরফ্যাশন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে অভিযোগকারীদের নামে একটি জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালতের অসাধু কর্মকর্তাগণের মাধ্যমে তাদের নামে খারিজ করিয়া নেয় অভিযুক্তরা এবং উক্ত 16 (ষোল) শতাংশ জমি তাদের দাবি করে রুহুল আমিনের নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলাটি চলমান আছে। প্রধান আসামী মোঃ ফারুক মাষ্টার রুহুল আমিনের ১১৭৪ ডিপি খতিয়ানের ৯৬ শতাংশ ভাগ বন্টনের জন্য জরিপ অফিসে একটি মোকদ্দমা দায়ের করে। উক্ত মোকদ্দমায় রুহুল আমিনের আলাদা ২৪৫১ ডিপি সৃজন করে সেই ভূমি থেকে ১০ শতাংশ ভূমি কর্তন করে ফারুক মাষ্টার এবং তার স্ত্রী মমতাজ বেগমের নামে রেকর্ড করে নেন। কিন্তু ফারুক মাষ্টার ১১৭৪নং ডিপি মোকদ্দমার বাদীও না বিবাদীও না। কিন্তু উক্ত বিবাদী রুহুল আমিনের নামের ১০ (দশ) শতাংশ কর্তণ করে নিয়ে যায়। সে বিষয়টি জানতে পেরে ভূমি অধিদপ্তরে অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্তের জন্য বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঠায়। পরবর্তীতে বরিশাল বিভাগীয় অফিসে থেকে চরফ্যাশন উপজেলা ভূমি অফিসে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। চরফ্যাশন থেকে তদন্ত পূর্বক রুহুল আমিনের পক্ষে বরিশাল বিভাগীয় অফিসে রায় প্রেরণ করেন। তার পক্ষে রায় হয়েছে জানতে পেরে বিবাদীগণ পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করেন।
বরিশাল জোনাল অফিস থেকে কে.এম সেকান্দার আলীকে পুনরায় শুনানীর জন্য অর্ডার করেন। তদন্ত শেষে কে.এম সেকান্দার আলী রিপোর্টে উল্লেখ করেন বিবাদীগণ বেআইনি ভাবে এবং রেকর্ড ও জরিপের পরিপন্থি কেস বিহীন ভূমি কর্তণ করেন এবং রিপোর্টে সে উল্লেখ্য করেন উক্ত বিবাদীগণ জালজালিয়াতি করে নেওয়া ১০ (দশ) শতাংশ ভূমি ফেরৎ যোগ্য। তাহা জানতে পেরে বিবাদীগণ হাইকোর্টে রি-পিটিশন করে রুহুল আমিনকে একটি উকিল নোটিশ প্রেরণ করেন। যাহার নং- ৮৪৯৫। এইভাবে বিবাদীগণ তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ জোর পূর্বক আমার খরিদকৃত সম্পত্তি জবর দখল করে রেখেছে। এ পর্যন্ত বিবাদীগণ রুহুল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যদের অসংখ্য বার মারধর করে মারাত্মক ফুলা জখম করে। বর্তমানে বিবাদীগণ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ জীবন নাশের হুমকি ধামকি দেয়। তিনি তাদের অত্যাচারে জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। রুহুল আমিনের জমি খরিদ করার জন্য কোন ক্রেতা আসলে ক্রেতাদের সামনে বিবাদীগণ তাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে ও মারতে আসে এবং ক্রেতাদের তার কোন জমি নেই বলে বিভিন্ন প্রকার ঝামেলার সৃষ্টি করে জমি বিক্রি করতে দিচ্ছে না। সে একজন বৃদ্ধ লোক, কোন কাজকর্ম করতে পারে না এবং তার কোন উপার্জন নেই। তার কোন পুত্র সন্তান না থাকায় এই বৃদ্ধ বয়সে তাকে এবং তার পরিবারকে দেখা শুনার মত কেউ নেই। তার এবং তার পরিবার অসহায়ত্বের দিনাতিপাত করছে। সে জমি বিক্রি করে সংসার চালাবে তারও কোন উপায় নেই। বর্তমানে সে বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে সুবিচারের জন্য। কিন্তু কোন সুবিচার পাচ্ছে না।
রুহুল আমিন এখন সমাজের সচেতন মহলের মানবিক দৃষ্টি কামনা করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত